ফরহাদ হোসেন রানা, ষ্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর মিরপুরে পুরো সড়ক ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করে আসছিল কয়েকটি সুবিধাবাদী সিন্ডিকেট মহল। সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকালে পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অভিযান চালাতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এ.এস.এম আজম ও পুলিশের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মকর্তারা সহযোগীতা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তরের স্বেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি ইসহাক হোসেন ইসহাক, এজাজ আহমেদ স্বপন, আবদুল ওয়ালিদ সুজন, ফরহাদ হোসেনসহ রাজনৈতিক অন্যান্য অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরাও কঠোর ভুমিকা পালন করেন।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকর্মীর আহতের খবর পাওয়া যায়। ব্যবসায়ীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ইটপাটকেল ছুড়ছলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ও পরে রাবার বুলেট ছুড়েন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো পুলিশের সদস্য মোতায়েন করা হয়। উচ্ছেদের আগে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নোটিশ করা হলেও তারা কোনো কর্নপাত করেনি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মিরপুর ১১-এর এভিনিউ-৪ (পল্লবীতে) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নামে ডিএনসিসি। সেখানে নিউ সোসাইটি মার্কেট ও মোহাম্মদীয়া মার্কেটের সামনে পুরো সড়ক জুড়ে থাকা অবৈধ দোকানপাট ভাঙতে চায় ডিএনসিসি।
অবৈধভাবে মুল সড়ক ও ফুটপাত দখল করে হাজার হাজার দোকান বসে। ফলে ভাষানী মোড়ে সব সময়ই তিব্র যানজট লেগেই থাকতো। সড়ক থাকলেও যানবাহন চলাচল ওই সড়কে বন্ধ ছিলো। অবৈধ স্থাপনার কারনে প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হতো পথচারিদের। দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা কালেশন হতো ওই দোকানগুলো থেকে। বিহারীদের নেতারা এই সড়ক ও ফুটপাত পরিচালিত করে বছরে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো। আজ বিপুলসংখ্যক পুলিশসহ ডিএনসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান।
একপর্যায়ে অবৈধ দখলদাররা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফুটপাতের ওপর থাকা একটি টিনশেড দোকান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিলে দখলদাররা সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযান টিমের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা ঢিল ছুড়তে থাকলে পুলিশসহ উচ্ছেদ অভিযানে থাকা লোকবল পিছু হটে।
পরে আবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে চাইলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এভাবে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। খবর পেয়ে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সিটি কর্পোরেশন অঞ্চল ২-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম শফিউল আজম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। স্থানীয়রা বলেন, এই সড়ক দখল মুক্ত হলে হাজার মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। চুরি ছিনতাই কমবে সকল ধরনের যানবাহন ও চলতে পারবে। এখানে বড় একটা মাদকের সিন্ডিকেটের আখড়াও ধ্বংস হয়েছে বলে জানা যায়।