মাধুরী দীক্ষিত ভারতের এক প্রখ্যাত চলচ্চিত্র তারকা। আর কপিল দেব ক্রিকেটে দুনিয়ার আরেক তারকা। এই দুই তারকা এবার ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় যাচ্ছেন—এমন খবর ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। কারণও রয়েছে।
কারণ, রাজ্যসভায় ভারতের দুই তারকা রেখা ও শচীন টেন্ডুলকারের সাংসদ পদের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই দুটি পদে আসবেন ফের দুই তারকা। কে আসবেন, তা নিয়ে জল্পনাকল্পনার অভাব নেই। তবে এই দুটি আসনে যে–ই আসুন না কেন, তাঁদের বিজেপির আশীর্বাদ নিয়ে আসতে হবে। কারণ, কেন্দ্রীয় সরকার এই শূন্য পদে যাঁদের মনোনয়ন দেওয়ার প্রস্তাব দেয়, তাতেই সাধারণত সিলমোহর দেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
ইতিমধ্যে ভারতের বিজেপি দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দেখা করেছেন মাধুরী দীক্ষিত ও কপিল দেবের সঙ্গে। তবে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে, সে ব্যাপারে কেউ মুখ না খুললেও এই দুই তারকাকে রাজ্য সভায় পাঠানো হচ্ছে—এমন খবর রটে গেছে।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন মাধুরী। সেই থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একটা সম্পর্কও গড়ে ওঠে ।
যতটুকু জানা যাচ্ছে, মাধুরীকে বিজেপির মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি কাজ করছে। মাধুরী নিজে মারাঠি সম্প্রদায়ের মানুষ। মহারাষ্ট্রে এখন বিজেপির সঙ্গে টক্কর চলছে শিবসেনার। শিবসেনা আবার মারাঠি ভাবাবেগে বিশ্বাসী। তাই বিজেপি মাধুরীকে বাগে আনতে পারলে আখেরে বিজেপিরই লাভ হবে—এই অঙ্ক কষে এগোতে শুরু করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, আরেক তারকা হলেন কপিল দেব। ১৯৮৩ সালের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ এসেছিল ভারতের এই ক্রিকেট অধিনায়ক কপিল দেবের হাত ধরে। দেশজুড়ে রয়েছে কপিল দেবের বিরাট জনপ্রিয়তা।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের কৈরানা লোকসভা আসনের উপনির্বাচনে বিজেপি পরাজিত হয়। এই কেন্দ্র আবার জাঠ সম্প্রদায়ভুক্ত। কপিল দেব নিজেও জাঠ সম্প্রদায়ের মানুষ। তাই জাঠ ভোটব্যাংক পুনরুদ্ধার করতে যে কপিল দেব বিরাট এক শক্তি—এটা বুঝেই বিজেপি তাঁকে কাছে টানছে। দ্বিতীয়ত, কপিল দেবের নিজের রাজ্য হরিয়ানায় রয়েছে জাঠ সম্প্রদায়ের লোকজন। ফলে হরিয়ানায়ও জাঠ ভোটব্যাংক অটুট রাখতে বিজেপি কপিল দেবকেই কাছে চাইছে।