আবির, বাংলাদেশ নিউজ২৪
আর কত এভাবে ধর্ষনের শিকার হবেন আমাদের মা-বোন? এর কি হবে না কোন প্রতিকার?
মেয়েটিকে ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি হায়নার দল। অবশেষ নিজের মেয়ের জামাই ও ছেলেকে দিয়েও ধর্ষণ করাতে চেয়েছিলেন ধর্ষক হোটেল ব্যবসাায়ী ফরিদ! মেয়েটিকে রাস্তা থেকে ফরিদের স্ত্রী লাভলী আক্তার ডেকে এনে নিজ বাসভবনে ঢোকান। পরে স্বামী ফরিদকে নাটকের আদলে রেখে ফরিদের প্রেমিকা রহিমা আক্তার সাথীকে লাভলীর মেয়ে জামাই আর নিজের ছেলেকে দিয়ে চালায় পাষবিক অত্যাচার। পরে লাভলীর মেয়ে এবং লাভলীর ছোট বোনসহ প্রায় ৫/৬ জন মিলে মেয়েটিকে নির্মমভাবে মেরে রক্তাক্ত করে মাথার চুল গোড়া থেকে কামিয়ে দেয়। এমন অমানুষিক নির্যাতনের অধিকার তারা কোথায় পেলেন? বিষয়টি সাথী তাৎক্ষণিকভাবে চেপে গেলেও পরিস্থিতি তাকে ছাড়েনি। বাধ্য করেছে সাথীকে প্রথমে হাসপাতাল পরে থানা পর্যন্ত যেতে। ঘটনাটি ঘটে গত ১লা ডিসেম্বর, ২০২০ইং তারিখ। ফরিদের সাথে মেয়েটির প্রায় ১ বছর যাবত পরিচয়। কিন্তু সে গত নভেম্বরের ১৮/২০ তারিখে রহিমা আক্তার সাথীকে গাজীপুরের একটি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন উক্ত ফরিদ। কিন্তু সাথীর বিষয়টি ফরিদের পরিবার কোনভাবে আঁচ করতে পারে এবং বিষয়টি নিয়ে ফরিদের ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই, স্ত্রী ও শালী সকলের মাঝেই একটা ক্ষোভ বিরাজ করে। প্রতিদিনের মতই গত ১লা ডিসেম্বর সাথী গার্মেন্টস্ শেষ করে বাসায় ফিরতে গেলে ফরিদের পরিবার মেয়েটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এ ব্যপারে রোমানা আক্তার সাথী নিউজ২৪ এর সাংবাদিকদের বলেন আমি আমার নির্যাতনের না সারা বাংলার সব নারীদের উদ্দেশ্যেই বলবো আর কোন বোন যেন আমার মতো এভাবে প্রতারিত হয়ে নির্যাতনের শিকার না হয়। আমি সরকারের কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই। সাথে আইনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মর্জি করছি।